মাইক্রোসার্ভিস ডিকম্পোজিশন প্যাটার্নস:
মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার বড় এবং জটিল অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে ছোট, ম্যানেজেবল অংশে ভাঙার জন্য বেশ জনপ্রিয়। তবে, পুরো সিস্টেমকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা মোটেই সহজ নয়। একটি বড় অ্যাপ্লিকেশনকে কীভাবে ছোট সার্ভিসে ভাঙবেন, সেটি সঠিকভাবে না করলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন। নিচে মাইক্রোসার্ভিস ডিকম্পোজিশনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্যাটার্ন তুলে ধরা হলো, যা অ্যাপ্লিকেশনকে কার্যকর ও স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য সাহায্য করে।
১. Decompose by Business Capability
এখানে অ্যাপ্লিকেশনকে ভাঙা হয় তার ব্যবসায়িক ক্ষমতার (business capability) উপর ভিত্তি করে। প্রতিটি capability এর জন্য আলাদা আলাদা সার্ভিস রাখা হয়, যেন তারা নির্দিষ্ট কাজের জন্য কাজ করতে পারে।উদাহরণ: একটি e-commerce অ্যাপে কয়েকটি প্রধান business capability থাকতে পারে, যেমন Order Management, Inventory Management, এবং Payment Processing। প্রতিটি capability এর জন্য আলাদা আলাদা মাইক্রোসার্ভিস তৈরি করলে এগুলো সহজে manage করা যায়।
২. Decompose by Subdomain (Domain-Driven Design)
Domain-Driven Design (DDD) অনুযায়ী, পুরো অ্যাপ্লিকেশনটিকে ভাঙা হয় subdomains এ। প্রতিটি subdomain এর জন্য আলাদা আলাদা মাইক্রোসার্ভিস তৈরি করা হয়, যেন business logic ও rules সহজে manage করা যায়।উদাহরণ: e-commerce অ্যাপে customer, billing এবং shipping এর জন্য আলাদা আলাদা মাইক্রোসার্ভিস তৈরি করা যেতে পারে, যেহেতু প্রতিটি subdomain এর আলাদা business logic থাকে।
৩. Decompose by Service Choreography
কিছু মাইক্রোসার্ভিস মিলে একটি কাজ সম্পন্ন করে যেখানে তাদের একটি central controller এর প্রয়োজন হয় না। একে অন্যকে event-driven communication এর মাধ্যমে জানিয়ে তারা একটি কাজ সম্পন্ন করে। Payment মাইক্রোসার্ভিস যখন একটি payment complete করে তখন Notification সার্ভিসকে notify করে, যাতে তা কাস্টমারকে ইমেইল পাঠাতে পারে।
৪. Decompose by Data Ownership (Database per Service)
প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস এর জন্য আলাদা ডাটাবেস ব্যবহার করা হয় যাতে তারা স্বাধীনভাবে data manage করতে পারে এবং অন্য সার্ভিসের ওপর নির্ভরশীল না হয়।উদাহরণ: Order service শুধুমাত্র order data manage করে এবং Inventory service শুধুমাত্র inventory data manage করে। এতে করে প্রতিটি সার্ভিসের data ownership নির্ধারিত থাকে এবং অন্য সার্ভিসের সাথে কমিউনিকেশনের ঝামেলা কমে।
৫. Decompose by Compliance Requirements
অনেক সময় কিছু মাইক্রোসার্ভিস sensitive data manage করে এবং এর security বা compliance (GDPR, PCI-DSS) এর জন্য extra care দরকার হয়। তাই sensitive এবং non-sensitive ফিচার আলাদা করা হয়।উদাহরণ: Payment এবং User Management এর মত sensitive মাইক্রোসার্ভিসকে আলাদা রাখা যায় যেন security standards maintain করা সহজ হয়।
৬. Decompose by Scalability Needs
কিছু ফিচার অন্যগুলোর তুলনায় বেশি ব্যবহৃত হয়। high-traffic এর কারণে যেসব ফিচার বেশি লোড প্রয়োজন সেগুলো আলাদা করা হয় যেন আলাদাভাবে scale করা যায়। উদাহরণ: Search বা Recommendation সার্ভিসকে আলাদা করে দিলে হেভি ট্রাফিক হলে সার্ভিস গুলোর performance ঠিক থাকে এবং scalability নিশ্চিত হয়।
৭. Decompose by Team Organization (Conway’s Law)
Conway’s Law অনুযায়ী, একটি system এর architecture তার organization এর প্রতিফলন করে। অর্থাৎ team এর organization structure অনুযায়ী system ভেঙে ফেলা যেতে পারে। উদাহরণ: Development team যদি দুটি বড় অংশে ভাগ থাকে, তবে তাদের জন্য আলাদা আলাদা সার্ভিস তৈরি করা যায়, যাতে প্রত্যেক team এর কাজ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে।
৮. Decompose by Lifecycle Requirements
কিছু ফিচার কম ফ্রিকোয়েন্ট আপডেটেড হয়। এখানে lifecycle আলাদা রাখার জন্য কম আপডেটেড ফিচারগুলো আলাদা করা হয় যাতে অন্য ফিচার গুলোর কাজ বাধাগ্রস্ত না হয়। Reporting বা Analytics এর মত ফিচারগুলো সাধারণত কম আপডেটেড হয় এবং এগুলো আলাদা সার্ভিস হিসেবে রাখা যেতে পারে।
মাইক্রোসার্ভিস ডিকম্পোজিশন প্যাটার্ন ব্যবহার করে একটি বড় অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট এবং manageable সার্ভিসে ভাগ করা যায়। এতে সার্ভিসগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং scale করা সহজ হয়। তবে কোন প্যাটার্ন ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করবে আপনার application এর business goals, scalability needs, এবং development team এর উপর।
